কোভিডের পর বৈশাখ
দীর্ঘ অবিস্মরণীয় সময় কাটিয়ে অপেক্ষা থেকে মুক্তি পেলাম।
বিগত দুই বছর যথাসম্ভব নিবৃত করে রেখেছিলাম অনেক রকম বাসনা থেকে। সপ্তাহর পর সপ্তাহ একা একা দিনগুলি ঘুম পাড়িয়ে ছোট ছোট কয়েকটা বাক্যের ভিতর ঢুকে বসে থাকতাম। কবিতার শব্দের নি:সরণের দিকে প্রবাহ বয়ে যেত।
গত কিছুদিন কত কিছু ঘটতে দেখলাম। মনে হয় স্বপ্নের ভিতর দিয়ে গিয়ে সময়কে স্পর্শ করা শিখলাম আবার। হালকা হালকা শীতের ভিতর যখন আর ঘুম আসে না, ঘরের ভিতর কামরা থেকে কামরা হাটা শিখলাম। নিজের সাথে হাটলাম গভীর রাতে।
স্পর্শ করে থাকল কবেকার হারানো সুস্থ দিনগুলি। মনে পড়তে থাকলো যে তোমাকে হারিয়ে ফেলেছি। যার চিন পরিচয় মৃদু রেখা। হালকা বাসন্তী রেখা ঝুঁকে পড়ে ফিরে আসে নাই। যেন একেবারে চলে গেছিল, সে এবার আবার দেখা দিল।
শ্বাসকষ্টের ভিতর দেখলাম তোমার মুখ। অক্সিজেন স্যাচুরেশন মাপার সময় আশা ফিরে আসে। সিলভিয়া প্লাথের টিউলিপ ফোটাবার চেষ্টা করে যাই। হিউয়েন সাংয়ের মত সুদুর চীন থেকে আসি নালন্দার বিদ্যাপীঠে। বুদ্ধকে মহাযানের ভিতর থেকে বস্তুবাদী হীনযানের দৃষ্টিতে তাকাই। টাকলামাকান মরুভূমি পার হয়ে আসি হর্ষবর্ধনের রাজসভায়। বগুড়ায় মহাস্থানগড়ে আসি।
দেশি গজলের ভিতর দিয়ে জেগে উঠলাম। আবার শ্বাস নিচ্ছি। বাজনা বেজে উঠবে। বৈশাখ আসবে। পজেটিভ জীবানু নেগেটিভ হবে।